প্রদীপ বিশ্বাস : আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনাতনে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার মুরাদনগরের হায়দরাবাদ বেগম জাহানারা হক ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মোতাহের হোসেন ভূইয়া বলেন, তিনি উপাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হলেও কলেজ প্রতিষ্ঠাতা সামছুল হক, অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক (ব্যবস্থাপনা বিভাগ) আবদুল মোমেন সরকার ও ব্যবস্থাপক ফারুক সরকারের ষড়যন্ত্রের কারনে কলেজে যেতে পারছেন না। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে বেতন-ভাতাও।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান বলেন, কলেজে নিয়মিত না যাওয়ায় মোতাহের হোসেন ভুইয়াকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যায় আইন অনুযায়ি বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অবগত রয়েছে। বরখাস্তকৃত শিক্ষকের বেতন ভাতা নিয়মতান্ত্রিকভাবেই বন্ধ থাকবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ সকল আইন মেনে তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মোতহের হোসেন আরো বলেন, ১৯৯৫ সালের ১৩ এপ্রিল পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে অত্র কলেজে যোগদান করেন। ২০০৩ সালে সহকারী অধ্যাপক পদে প্রমোটেড হন। ২০০৯ সালে অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান অন্য কলেজে চলে যাওয়ার সুবাদে তৎকালীন কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে। এর মধ্যে গভনির্ং বডির সভায় প্রথমে উপাধ্যক্ষ নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলে ২০০৯ সালের ১ জুন উপাধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।
তিনি জানান, এমপিওভুক্তির জটিলতা দেখা দিলে হাইকোর্টে রিট মামলা রজু করেন। ২০১৪ সালের ১৬ জুন হাই কোর্ট তার পক্ষে রায় দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে এমপিও ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। পরে ২০১৬ সালের মার্চে উপাধ্যক্ষ পদে তার এমপিও হয়ে যায়। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারনে তিনি কলেজে যোগদান করতে পারছেননা। তার চাকরি ফিরে পাওয়া ও বকেয়া বেতন ভাতা পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন উপাধ্যক্ষ মোতাহের হোসেন ভুইয়া। সংবাদ সম্মেলনে তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন
Leave a Reply